Wellcome to National Portal

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সমাজসেবা অধিদপ্তরের কার্যক্রম নিয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রতিদিন সকাল ৯.৪৫ মিনিটে সমাজদর্পণ অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হচ্ছে।

মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণ জরিপ কর্মসূচি

প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণ জরিপ কর্মসূচি

এক নজরে কসবা উপজেলার প্রতিবন্ধিতার হালনাগাদ প্রতিবেদন তারিখ (০১/০৯/২০১৪ - ২৩/১২/২০২৪)


লিঙ্গ

(০১) অটিজম

(০২) শারীরিক প্রতিবন্ধী

(০৩) মানসিক প্রতিবন্ধী

(০৪)

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী

(০৫) বাক প্রতিবন্ধী

(০৬)

বুদ্ধি প্রতিবন্ধী

(০৭) শ্রবণ প্রতিবন্ধী

(০৮) শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী

(১০) সেরিব্রাল পালসি

(১১) বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধী

(১২) ডাউন সিনড্রম


(৯) অন্যান্য

মোট

পুরুষ

157

2721

221

634

534

401

65

30

308

292

2

2

5367

মহিলা

102

1412

118

489

388

327

74

20

169

242

0

2

3343

হিজড়া

0

0

0

0

0

2

0

0

0

0

0

0

2

সর্বমোট

259

4133

339

1123

922

730

139

50

477

534

2

4

8712


প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণ কার্যক্রম প্রেক্ষাপটঃ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে সকল নাগরিকের সমঅধিকার, মানবসত্ত্বার মর্যাদা, মৌলিক মানবাধিকার ও সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষা এবং তাদের কল্যাণ ও উন্নয়নে প্রথম মেয়াদে(১৯৯৬-২০০১) প্রতিবন্ধী কল্যাণ আইন ২০০১ সংসদে পাশ করেন। তাছাড়া বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অধিকার সংক্রান্ত জাতিসংঘ সনদ Convention on the Rights of Persons with Disabilities (UNCRPD)-এ ২০০৭ সালের ৯ মে স্বাক্ষর এবং ৩০ নভেম্বর অনুসমর্থন করে। প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক আন্তর্জাতিক দলিল UNCRPD এর আলোকে ২০০১ সালে প্রণীত প্রতিবন্ধিী কল্যাণ আইন যুগোপযোগী করে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩ এবং ৩য় মেয়াদে (২০১৪-২০১৯) প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা বিধিমালা-২০১৫ প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সাংবিধানিক অঙ্গীকার বাস্তবায়ন এবং আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি পূরণে যে কোন কর্মসূচি গ্রহণ কিংবা রাষ্ট্রীয় সুবিধা প্রদান করতে হলে প্রয়োজন সঠিকভাবে শনাক্তকরণ ও প্রয়োজনীয় তথ্যসম্বলিত সয়ংসম্পূর্ণ তথ্যভান্ডার।

প্রতিবন্ধিতা জীববৈচিত্রের একটি অংশ। সকল প্রতিবন্ধিতা দৃশ্যমান নয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধিতা দীর্ঘস্থায়ীও নয়। বরং বিভিন্ন ক্ষেত্রে অস্থায়ী প্রতিবন্ধিতা দেখা যায়। এছাড়া প্রতিবন্ধিতার মাত্রাগত তারতম্যও বিদ্যমান। বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রতিবন্ধীব্যক্তি রয়েছে। প্রতিবন্ধীব্যক্তিবর্গের মধ্যে বেশিরভাগই দারিদ্র্যের শিকার তথা নিম্নআয়ভুক্ত বলে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়। প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর দরিদ্রতা নিরসন ও জীবনমান উন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ এখন সময়ের দাবী। দারিদ্র্য নিরসন ও জীবনমান উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন তাদের উপযোগী চিকিৎসা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করে লক্ষ্যভিত্তিক পরিকল্পিত কার্যক্রম গ্রহণ। এ লক্ষ্যে প্রতিবন্ধিতার ধরন চিহ্নিতকরণ, মাত্রা নিরূপণ ও কারণ নির্দিষ্টপূর্বক প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী’র সঠিক পরিসংখ্যান নির্ণয়ের নিমিত্ত দেশব্যাপী ‘প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণ জরিপ কর্মসূচি’ গ্রহণ করা হয়।

প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণ জরিপ কর্মসূচির উদ্দেশ্য:

১. বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর পরিবার/ব্যক্তির সংখ্যা নির্ধারণ।

২. দেশে দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণ।

৩. প্রতিবন্ধী ব্যক্তির নিবন্ধন এবং পরিচয়পত্র প্রদান।

৪. প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ছবিসহ প্রয়োজনীয় তথ্য সম্বলিত Database প্রস্তুত করে এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাদি সকল প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের ব্যবহার উপযোগীকরণ।

৫. সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি/প্রকল্পে সঠিকভাবে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্যভুক্ত করা এবং লক্ষ্যভুক্তির কৌশল সহজতর করা; এবং

৬. প্রতিবন্ধী বিষয়ক জাতীয় নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর কল্যাণ নিশ্চিত করা।


প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণ দেশব্যাপী প্রসারের পূর্বে পদ্ধতিগত কার্যকারিতা নির্ভুল করার লক্ষ্যে পাইলট ভিত্তিতে মে ২০১২ খ্রি. থেকে এ জরিপ শুরু হয়। ২০১১-২০১২ অর্থ বছরে পাইলটভিত্তিতে গোপালগঞ্জ জেলার সকল উপজেলা(৫টি) এবং জামালপুর সদর, বরুড়া, কুমিল্লা, পবা, রাজশাহী, মোড়েলগঞ্জ, বাগেরহাট, বরিশাল সদর, চুনারুঘাট, হবিগঞ্জ ও ফুলবাড়ি, দিনাজপুরসহ সর্বমোট ১২ টি উপজেলা ও দুইটি ইউসিডিতে জরিপ কাজ সম্পন্ন করা হয়। ২০১২-১৩ অর্থবছরে পাইলটবহির্ভুত উপজেলা ব্যতীত দেশের সকল এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে জরিপ পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ১ জুন ২০১৩ খ্রি. থেকে মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হয় এবং ১৪ নভেম্বর ২০১৩ প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহের কাজ সম্পন্ন হয়। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক মনোনীত ডাক্তার কর্তৃক জরিপের আওতাভুক্ত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতিবন্ধিতার ধরন ও মাত্রা নিরূপণের কাজ শুরু হয়। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাদপড়া প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদেরকে জরিপভুক্তকরণসহ ডাক্তার কর্তৃক শনাক্ত করা হয়।


ডাক্তার কর্তৃক শনাক্তকৃত প্রতিবন্ধী ব্যক্তির তথ্যসমূহ যথাযথভাবে সংরক্ষণ এবং সংরক্ষিত তথ্যের আলোকে তাদের সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিতকল্পে তথ্যভান্ডার Disability Information System (www.dis.gov.bd) প্রস্তুত করা হয়েছে এবং ওয়েববেজড সফটওয়্যারের মাধ্যমে উক্ত তথ্যভান্ডারে প্রতিবন্ধীব্যক্তিগণের তথ্যসমূহ নিয়মিত ভাবে সন্নিবেশিত হচ্ছে। বিভিন্ন সরকারি/বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সাধারণ জনগণ ও প্রতিবন্ধীব্যক্তি যাতে এ কর্মসূচির মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করতে পারে সে লক্ষ্যে সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তির তথ্য উপাত্ত ব্যবহার নীতিমালা, ২০২১ অনুমোদন করেছে।

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য আইন, বিধিমালা এবং নীতিমালার লিংক নিচে দেওয়া হলো: -

১. প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ খ্রি.

২. প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা বিধিমালা, ২০১৫ খ্রি.

৩. প্রতিবন্ধী ব্যক্তির তথ্য উপাত্ত ব্যবহার নীতিমালা, ২০২১ খ্রি.